নিজস্ব প্রতিবেদক: নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে আটক ভিকারুননিসার শিক্ষিকা হাসনা হেনা পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় অবশেষে জামিন পেয়েছেন।
রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকীবিল্লাহ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন।
তিনি জানান, পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ডিবি পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাইদ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের পর শিক্ষক হাসনা হেনাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আখতার এবং অরিত্রির শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে পল্টন থানায় মামলা করেন অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী।
গত বুধবার দুপুরে অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে তাদের এমপিও বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় আটক শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভে উত্তাল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে অনশনের ঘোষণা দেন।
রোববার সকাল ৭টা থেকে স্কুলের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
হাসনা হেনার পাশাপাশি ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আখতারও বরখাস্ত হয়েছেন। অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারীর মামলায় তারাও আসামি।
পুলিশ ও পরিবারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগরে ৭তলা ভবনের সপ্তমতলায় নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রিকে পাওয়া যায়।
এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকরা অরিত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে।